১৯৩০ এর চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সময় প্রীতিলতার বয়স কুড়ি। সূর্য সেন, গণেশ ঘোষ, লোকনাথ বল, অম্বিকা চক্রবর্তী, আনন্দ প্রসাদ গুপ্ত, ত্রিপুরা সেন, কল্পনা দত্ত, হিমাংশু সেন, বিনোদ বিহারী চৌধুরী, সুবোধ রায় এবং মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রীতিলতা এবং দলের অন্যান্যরা ঠিক করলেন ব্রিটিশদের অস্ত্রাগার লুট করবেন তাঁরা, টেলিফোন আর টেলিগ্রাফ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন। অস্ত্রাগার লুট করতে যদিও সফল হননি তাঁরা, তবে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হয়।দলের অনেকেই গ্রেফতার হলেন। প্রীতিলতা আর দলের অন্য কয়েকজন সদস্য পালাতে সফল হলেন।
মাস পাঁচেক পর সুর্য সেনের ভাবনা মতোই পাহারতলীর ইওরোপিয়ান ক্লাব হামলার পরিকল্পনা ছিল। সেই দলের প্রধান ছিলেন প্রীতিলতা। ইওরোপিয়ান ক্লাবের বাইরে তখন গোটা গোটা অক্ষরে লেখা থাকত “ডগস অ্যান্ড ইন্ডিয়ান্স আর নট অ্যালাউড”।
প্রীতিলতার নেতৃত্বে ১০ জনের একটি দল শিখে নিল কীভাবে অস্ত্র চালাতে হয়, কী ভাবে প্রয়োজন পড়লে গিলে নিতে হয় পটাশিয়াম সায়ানাইড। ১৯৩২ এর ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে হামলা হল ইওরোপিয়ান ক্লাবে। একাধিক সদস্য জখম হলেন হামলায়। হামলাকারীদের উদ্দেশে চলল পুলিশের গুলি। প্রীতিলতা গুলি লাগার পরেও বেঁচেছিলেন। শুধু লজ্জা নয়, আটক হলে ইংরেজদের টর্চারে গোপন তথ্য প্রকাশ হতে পারে এ জন্যে তাদের দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পটাসিয়াম সায়েনাইড রাখা হত। ধরা পড়া যখন নিশ্চিত তখনই আত্মহত্যা করতেন কমরেডরা। এটা দলের সিদ্ধান্ত। এই মনে করে ২১ বছরের তরুণী প্রীতিলতা খেয়ে ফেললেন পটাশিয়াম সায়ানাইড।
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বাঙালি নারী ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহিদ
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এর আত্মবলিদান দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
1 Comments
nice
ReplyDelete